“স্ত্রী হচ্ছে বিছানার সৌন্দর্য। এদের সেভাবেই দেখবে। বাড়তি লাই দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর স্ত্রী শব্দটার ইংরেজি একটা প্রতিশব্দ আছে জানো তো? শব্দটা হচ্ছে “বেডফেলো”, মানে শয্যাসঙ্গী। এদের সাথে কাহিনী ওই শয্যা পর্যন্তই রাখবে। এই স্ত্রী দের এতো লাই দিও না। দেখবে তোমাদের ভেড়া বানিয়ে রেখে দেবে। পুরুষ হয়ে জন্মেছো, পুরুষ হয়ে বাঁচো, পৌরুষ নিয়ে বাঁচো, আমার দলে আমি কোনো ভেড়া রাখবো না। ফের যদি আজকের এই ইম্পরট্যান্ট মিটিং-এর সময় কারো স্ত্রীর নাম্বার থেকে ফোন আসে তাহলে তাকে আজ এই সামিন ইয়াসার পশ্চাৎদেশে লাত্থি মেরে রুম থেকে বের করে দেবে। “সামিন ইয়াসার কথাটা বলে শেষ করতে না করতেই মিটিং রুমের সবাই যার যার পকেট থেকে ফোন বের করে ফোনগুলো সাইলেন্ট করে ফেল। তারা তাদের নেতা সামিন ইয়াসারকে খুব ভালো করে জানে। আজ সমাবেশের আগে পশ্চাৎদেশে লাত্থি খাওয়ার শখ নেই কারো।সামিন চেয়ারের হাতলে তার বা হাতটা রেখে দুটো টোকা মেরে বলে,”চোখ কান খোলা রাখবে সবাই। পুলিশ যতই থাকুক না কেনো, নিজেদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমি নির্বাচনের আগে আমার কোনো ছেলে হারাতে চাই না। বোঝা গেছে? “”জ্বি ভাই।”সবাই একসাথে বলে ওঠে। কথা শেষ করে সামিন হাতঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে হেলান দিয়ে থাকে,তার দু’চোখ বন্ধ। “ভাই আতাউরের বাচ্চার খবর শুনছেন? মনে হয়না বাঁচবে। জানিনা কাজটা কে করছে,তবে সুবিধা হইছে আমাদের। একটা বড় কাঁটা পথ থেকে সরে গেছে। বেশি ফাল পারতেছিলো হা’রা’ম’জা’দা।”জামিলের কথায় সামিন চোখ খুলে তাকায়। মুখভঙ্গি নির্লিপ্ত। গম্ভীর কন্ঠে বলে,”ভদ্রভাবে কথা বলো জামিল। আতাউরের বাচ্চা আবার কি ধরনের কথা? মুরব্বি মানুষ। সম্মানের সাথে ডাকবে। ওনার নাম আতাউর আলম।”জামিল থতমত খেয়ে যায়। ইয়াসার ভাইয়ের মন বোঝা বড় দায়। প্রতিদিন যে লোক এই আতাউর আলমকে তুলোধুনো করতে ছাড়ে না সে আজ মুরব্বি জ্ঞানের পাঠ পড়াচ্ছে। কি অদ্ভুত!সামিন কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলে,”আমার তরফ থেকে একটা ফ্লাওয়ার বুকে নিয়ে গিয়ে হসপিটালে দিয়ে আসিস কেউ। বাড়ির লোকদের গিয়ে বলে আসবি “সামিন ইয়াসার পাঠিয়েছে, সে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেছে। তার সহানুভূতি রইলো আপনাদের পরিবারের প্রতি।”দলের দুজন তরুণ প্রতিনিধি মাথা নাড়ায়। সামিন উঠে হেলতে দুলতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ওরা ওদের নেতাকে অনুসরণ করে কালো পিঁপড়ার দলের মতো লাইন ধরে দলীয় মিটিং রুম থেকে বের হয়।জনসমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপচে পরেছে আজ এই এলাকায়। সরকার দলীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইমতিয়াজ মির্জার বড় ছেলে সামিন ইয়াসার মির্জা যে কিনা খোদ নিজেও ছাত্রনেতা সে আজ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। মানুষটাকে দেখার জন্য উত্তপ্ত মরুভূমির মতো বিশাল মাঠটাতে ঠেলাঠেলি করে দাড়িয়ে আছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের দল। সবাই অপেক্ষা করছে কখন নেতা তার ভাষণ শুরু করবে। সবার অপেক্ষার পালা শেষ হয়। সিংহের মতো হেলে দুলে মঞ্চে উঠে জনতার দিকে ফিরে হাত নাড়িয়ে মাইকের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। বয়সের চেয়ে গম্ভীর এবং রাশভারী কন্ঠে জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে,”আসসালামুয়ালাইকুম আমার প্রান প্রিয় ভাইয়েরা।”জনসমুদ্রে মৃদু গুঞ্জন শোনা যায়। সবাই সালামের উত্তর দিচ্ছে। সামিন বলতে থাকে,”আপনাদের সবার জন্য প্রানঢালা ভালোবাসা নিয়ে আজ আমি সামিন ইয়াসার মির্জা এই মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনারা আমাকে গ্রহণ করুন। আমি আমার বাবা ইমতিয়াজ মির্জার আদর্শে বেড়ে ওঠা……..”আর কিছু বলার আগেই নরম একটা মেয়েলী হাত সামিন ইয়াসারের বাহু ধরে ঘুরিয়ে দেয়,সামিন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ডান গালে স্বশব্দে একটা চড় বসিয়ে দেয় তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন তরুণী। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে যায় সামিন ইয়াসারের দলীয় তরুণ কর্মীরা। জনতার সমুদ্রে গুঞ্জন শোনা যায় মুহুর্তেই। হচ্ছে টা কি আসলে!ডানগালে হাত দিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণীর দিকে বিস্ময় ও প্রচন্ড রাগ মিশ্রিত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে সামিন। কয়েক মুহূর্ত সময় নিয়ে মেয়েটিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে নেয় সে। লম্বায় পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চির মতো হবে,পাতলা ফিনফিনে শরীর,তুলে একটা আছাড় মারা যাবে অনায়াসেই। মেয়েটি সুন্দরী, উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের সুশ্রী মুখটা যেকোনো তথাকথিত ফর্সা সুন্দরীদের হারিয়ে দেবে। মেয়েটি তার দিকে ঘৃণার দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। সামিন ইয়াসার বুঝতে চেষ্টা করে মেয়েটি কে হতে পারে। নিশ্চয়ই মেয়েটি বিরোধী পার্টির একটা গুটি। যাকে আজ সামিন ইয়াসারের সমাবেশ বানচাল করতে পাঠানো হয়েছে। মুহুর্ত কেটে যায়,মেয়েটি একটা গভীর নিঃশ্বাস ফেলে কান্না মিশ্রিত কিন্তু তেজী কন্ঠে বলে ওঠে,”বাবার আদর্শ? একটা নিরপরাধ মানুষকে রাস্তা থেকে সরানোর জন্য তার জানের ওপর হামলা করাটাও বাবার আদর্শ? রাজনীতির পাঠে আপনার আদর্শবান পিতা বুঝি এসব শিখিয়েছে আপনাকে? নির্বাচনে জেতার এতো লোভ যে কাপুরুষের মতো পেছন থেকে ছুড়ি বসিয়েছেন। সম্মুখ সমরে নামার মুরোদ নেই তাইনা? কাপুরুষ। আপনার মুখে আমি থুতু দিলাম।”দ্বিতীয়বারের মতো সবাইকে হতবাক করে দিয়ে মেয়েটি সামিন ইয়াসারের গাঁয়ে থুতু ছুড়ে মারে। ইয়াসার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে মেয়েটির ঔদ্ধত্য দেখতে থাকে চুপচাপ। মেয়েটি ঘাড় ঘুরিয়ে জনতার দিকে তাকায়। ধীরপায়ে এগিয়ে গিয়ে মাইকের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, চেঁচিয়ে বলতে থাকে,”একটা আস্ত ক্রিমিনাল এই লোকটা,জনসেবার আড়ালে লুটতরাজ, মানি লন্ডারিং,সরকারের টাকা মেরে দেওয়া,খু/ন খা/রাবি করে বেড়ায় এই লোকটা। এদের পারিবারিক ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন আপনারা সবাই? আজ একটা অপরাধীর ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন সবাই? লজ্জা করে না? লজ্জা করে না আপনাদের?”সামিনের দলের ছেলেরা ক্ষেপে গিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে। ও তাদের হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেয়। মেয়েটি সামিন ইয়াসারের চোখের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে মঞ্চ থেকে নেমে যায়। কিছুক্ষণ সেখানের সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যায় মেয়েটিকে ধরতে। সামিন ইয়াসার তাদের পেছন থেকে ডেকে ওঠে,”দাঁড়ান।”সবাই দাঁড়িয়ে পরে। অবাক হয়ে সামিন ইয়াসারের দিকে তাকায়। ইয়াসারের দলের একটা ছেলে ছুটে এসে তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,”ভাই। আতাউর আলমের বড় মেয়ে। আলো।”সামিন ইয়াসার চোখ তুলে মেয়েটিকে আবারো দেখবে বলে তাকায়। কিন্তু মেয়েটি ভীড়ের মধ্যে মিলিয়ে গিয়েছে। সামিনের দিকে সবাই ভীত চোখে তাকিয়ে আছে। পুলিশ কনস্টেবল এসে বলে,”লেডি কনস্টেবল দের পাঠিয়ে দিয়ে ধরে নিয়ে আসি?”সামিন ইয়াসার জনতার দিকে একবার তাকায়, তারপর পুলিশ কনস্টেবলকে বলে,”এটা আমার মামলা। আমি বুঝে নেবো।”***মুখমণ্ডলের ঘাম মুছতে মুছতে ওড়নার এক কোনা চটচটে হয়ে গিয়েছে। আজ সূর্য্যের তাপটা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। আলো সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে ব্যাগটাকে মাথার উপরে ছাতার মতো ধরে রোদের তাপ প্রতিহত করে, কিছুক্ষন ওখানে ওভাবে দাড়িয়ে থেকে নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে চলে যায় কেবিন নাম্বার দুইশো নয়ের কাছে। কেবিনের সামনে এসে তার পা ফেলার গতি কমে যায়। শরীরটা অজানা আতঙ্কে একটু একটু করে কাঁপছে। গত একদিনে মুখে কিছু দেয়নি সে, ব্লাড প্রেশার লো হয়ে গিয়েছে,মনে হচ্ছে এক্ষুনি মাথাটা চক্কর দিয়ে নিচে পরে যাবে। কেবিন নাম্বার দুইশো নয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আজান এবং আয়াত। আলোর ছোটো দুই ভাই। ওরা জমজ। দু’জনেই এবার কলেজে ভর্তি হয়েছে। বড় আপুকে দেখতে পেয়ে ছুটে আসে দু’জনেই। আলো হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,”জ্ঞান ফেরেনি তাই না? আরে ঘাবড়াচ্ছিস কেনো? ডাক্তার বলেছে আটচল্লিশ ঘন্টার পরে দেখা যাবে। আটচল্লিশ ঘন্টা হতে এখনো সাত ঘন্টা বাকি।”আয়াত কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলে,”আম্মুকে সামলানো যাচ্ছে না আপু। তুমি কিছু একটা করো!”আলো একটা গভীর নিঃশ্বাস ফেলে, তারপর বলে,”তোরা দুজনে এখানে তাহলে আম্মুকে দেখবে কে? আজান তুই বাড়িতে যা। আয়াত আমার সাথে থাকুক।”_তুমি কোথায় গিয়েছিলে আপু? কোনো থানা পুলিশের ঝামেলায় গিয়েছো নাকি? আমার খুব ভয় করছে!আজানের কথায় আলো মুখটাকে হাঁসি হাঁসি করার বৃথা চেষ্টা করে বলে,”অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করে এসেছি। যেটা না করলে আমার বিক্ষিপ্ত মন শান্ত হতো না।”আয়াত আর আজান দু’জনেই তাদের বড় আপুর কথা কিছু বুঝতে পারছে না। আলো সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে তার বাবা আতাউর আলমের কেবিনের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। দরজার কাচ দিয়ে চোখ রেখে নিজের বাবার অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ক্ষতবিক্ষত শরীরটার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে ওঠে,”আমি ওই লোকটাকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো আব্বু।”***”হ্যা আমি ওই মেয়েটার সম্পূর্ণ খবরাখবর চাই। কোন কলেজে পড়ে। কোথায় কোথায় যায়। মানে ওকে নজরে নজরে রাখবে। কেনো বলছি? কারন আমার দরকার তাই, এখন ফোনটা রাখো এবং যা করতে বলেছি করো।”সামিন ইয়াসার ফোন কেটে দিয়ে বিছানার ওপর ছুঁড়ে মারে ফোনটা। তারপর ধপ করে নিজেও বসে পরে বিছানায়। মাথা থেকে কিছুতেই ওই দৃশ্যটা সে সরাতে পারছে না। চড়ের শব্দ টা এখনো তার কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ওই মেয়েটির তার গাঁয়ে থুতু ছুড়ে মারার দৃশ্যটা মস্তিষ্কে দামামা বাজিয়ে যাচ্ছে। সামিন ইয়াসার চোখ বন্ধ করে বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকে। কিছুক্ষণ যেতেই হুরমুর করে তার ঘরের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকে তার ভাই ইলহাম। সামিন ইয়াসার মাথা তুলে তাকায়। সে কিছু বলার আগেই ইলহাম বলে ওঠে,”টিভি অন করো ভাইয়া। কুইক!”সামিন উঠে টিভি অন করে। ইলহাম বলে,”চ্যানেল নাম্বার থার্টিন।””ছাত্রনেতা সামিন ইয়াসারকে জনসম্মুখে চড় মেরেছে তরুণী। কে এই তরুণী?”সংবাদ উপস্থাপিকার মুখে বাক্যটি শুনে সামিন ইয়াসার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে। তার চড় খাওয়ার ভিডিওটি খবরে বারবার দেখানো হচ্ছে। সামিন রিমোট টিপে চ্যানেল পাল্টায়। সেখানেও সেই একই খবর। সামিন ইয়াসার ক্ষুব্ধ দুটি চোখ নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছে। “ভাইয়া প্রায় প্রত্যেকটা খবরের চ্যানেলে ভিডিও ক্লিপটা ছড়িয়ে গেছে।”পাশ থেকে আমতা আমতা করে ইলহাম বলে।_কে করেছে ভিডিওটা?তেজী কন্ঠে জিজ্ঞেস করে সামিন ইয়াসার। _জানার চেষ্টা করছি ভাইয়া। “ছাত্রনেতার গালে তরুণীর চড়। এই তরুনীর সাথে কি কোনো অসভ্যতা করেছিলো ছাত্রনেতা সামিন ইয়াসার?”সামিন আর শুনতে পারেনা, হাতের রিমোটটা ছুঁড়ে মারে টিভির দিকে। ইলহাম ভয়ার্ত দৃষ্টিতে বড় ভাইকে দেখে। সিংহ এক্ষুনি গর্জন শুরু করবে,একে সামলানো তার একার পক্ষে দায় হয়ে যাবে। সে তার বাবা ইমতিয়াজ মির্জাকে ডাকতে উদ্যত হবে তখনি ইমতিয়াজ মির্জা দরজার পর্দা সরিয়ে হনহন করে ঘরে ঢোকে সামিন ইয়াসারের। সামিন ইয়াসার তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে। ইমতিয়াজ মির্জা ধীরে ধীরে বলে,”শান্ত হও। মানহানির মামলা করবো। শান্ত হও।”_এতে হয়ে যাবে বাবা?ঠান্ডা গলায় বাবাকে প্রশ্ন করে সামিন। ইমতিয়াজ মির্জা তার ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে। সামিন কন্ঠে অস্বাভাবিক শান্ত ভাব বজায় রেখে বলে,”এতে ওই ভিডিও ক্লিপ টা মুছে যাবে?”_আমি ওটা সব যায়গা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছি।_আর মানুষের মস্তিষ্ক থেকে? সেখান থেকে কিভাবে সরাবে বাবা? পারবে না তো। সামিন ইয়াসার জনসমক্ষে একটা মেয়ের হাতে চড় খেয়েছে, মেয়েটা তার গায়ে থুতু মেরেছে এটা তো তাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গিয়েছে বাবা। ওরা আজীবন মজা ওড়াবে এটা নিয়ে। আজীবন!ইমতিয়াজ মির্জা চুপ করে থেকে বলে,”আমি মানহানির মামলা দেবো।”_না।ঠান্ডা গলায় বলে ইয়াসার।_বাধা দিচ্ছিস কেনো? একটা বিহিত তো করতেই হবে।_তোমাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমি করবো।ওই মেয়েটাকে এর দাম দিতে হবে। আমি ওই মেয়েটার খুব খারাপ অবস্থা করে ছাড়বো বাবা। ও আজীবন মনে রাখবে এই সামিন ইয়াসারকে।চলমান….#বধূ_কোন_আলো_লাগলো_চোখে#ইসরাত_আরা_ইতি#১ম_পর্ব[ বড্ড কাঁচা হাতের লেখা। প্রথম পর্বটি কেমন লাগলো জানাবেন 😌 ]ধন্যবাদ এক হাজার ফলোয়ার করে দেয়ার জন্য 🥰
